সেদিন এক বন্ধু এসে জিজ্ঞেস করল জয়ঢাক তৈরি হল কেমন করে? তা এবারের জয়ঢাকি বোলে জয়ঢাক তৈরির সত্যিকারের গল্পটা তোমাদের জানিয়ে দিলাম। এই নাও।
পুরাকালে নর্তকি ছিল এক জাপানে
রূপসিনী ডিজেবতি সাকুরা
সুখ ছিলনাকো তার সাকেতে কি চা পানে
যত সাধে সামুরাই কাকুরা
সাকুরা কো কেঁদে বলে এ জীবনে শতধিক
নেচে নেচে পায়ে হল ফোসকা
তবু দেখ কাবুকিতে ছোকরা নায়িকা ঠিক
কেন বলো? সাকুরার দোষ ক্যা?
একদিন মাঝরাতে গিয়ে ছাতে তেতলায়
ফুজিয়ামা ফুজিয়ামা শব্দে
ডিজেবতি কেঁদে গায় মিহি ঢিমে তেতালায়
ওরে মোরে কাবুকিতে জব দে
শুনল না কথা তার সে আঁধার রাত্রি
টুপটাপ হিম দিল গাত্রে
ডিজেবতি সেও নয় ছাড়বার পাত্রী
হারাকিরি ঘটাল সে রাত্রে।
দেহ ছেড়ে ‘ইশেগুরু কামিকাজে’ মন্ত্রে
পাড় হয়ে সসাগরা হিমালয়
পেত্নিগো এয়ারের মহাজেট যন্ত্রে
এল যেথা নৈহাটি সিটি রয়
তারপর কতকাল কাটে ভালো মন্দে
কত ওঠা কত পড়া কত বাঁক
আজও তাই নেচে যাই তুলে নিয়ে স্কন্ধে
একখান আলিসান জয়ঢাক
আনন্দে থেকো বসন্তকালে। জয়ঢাক বাজাও সবাই মিলে।
তোমাদের জয়ঢাকি দাদাদিদিরা