আগের পর্ব ধনেশ, মাছরাঙা, মুনিয়া, কাজল পাখি , দোয়েল-কোকিল-ময়না বুলবুল, বকপাখি, মোনাল দেখার গল্প, পাঁচ বউয়ের কাহিনি
পাখি দেখা – ১১
‘ঘুঘুর বাসা’ শব্দদুটোতে কীরকম একটা গা ছমছমে ব্যাপার আছে। আমার অন্তত তাই মনে হয়। কিছু অসাধু মানুষদের অসামাজিক দুষ্কর্মের কার্যকলাপকে ঘিরে যে আবহাওয়ার পরিবেশ একটা ঘুপচি ঘরের মধ্যে থেকে চলে সেটাকেই এই বাংলা প্রবাদ দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে আমরা শব্দদুটির ব্যবহার পেয়েছি খবরের কাগজে, টেলিভিশনের খবরে, আমাদের বন্ধুবান্ধবদের কাছে। কিছু একটা কাজ করাতে গেলে যখন অকারণে সেই জায়গার অনেকদিন ধরে কোনো মানুষকে ঘুরপাক খেতে হয়, তখন শোনা গেছে যেসব ব্যক্তিরা ওই জায়গাটিকে দখল করে রাখে, অথবা সেখানে ক্ষমতায় থাকা মানুষদের ওই আখড়াটাকেই ঘুঘুর বাসা নামে আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ, সেই জায়গা থেকে কাজ উদ্ধার করে আনতে হলে সেখানে উপস্থিত ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের কিছু উৎকোচ প্রদান করতে হয়। এটাকে গোপন বলে ভাবা হলেও আসলে সকলেরই জানা। এইরকম সমস্ত স্থানকেই আমরা সভ্য সমাজের মানুষেরা ঘুঘুর বাসা বলেই জেনে এসেছি এতদিন ধরে।
কিন্তু এখন যে ঘুঘুর বাসা নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি, সে আমাদের সকলের কাছেই অত্যন্ত প্রিয় ও নিরীহ এক জীব। এই পাখির নাম ঘুঘু, আমাদের খুব কাছাকাছি এদের বাসা, কিন্তু কেউ বোধ হয় সেই বাসাটিকে আজ পর্যন্ত দেখতে পায়নি। তাই দুষ্টু মানুষদের বাসাকেও বোধ হয় ঘুঘুর বাসা নাম দেওয়া হয়েছে যে বাসাকে চোখে দেখেও বোঝার উপায় নেই। ঘুঘুরা বাসা বানায় গাছের ডালে, ঝোপঝাড়ে, আবার মাটিতেও শুকনো লতাপাতা, খড় বা অন্যান্য আবর্জনা থেকে। কিন্তু পারতপক্ষে সেই বাসা চোখে পড়ে না।
ঘুঘুদের নিয়ে আরো মজাদার একটি প্রবাদ রয়েছে বাংলা ভাষায়। যেমন আমরা বলতে শুনেছি, ‘ঘুঘু দেখেছ, ফাঁদ দেখনি।’ একটি সূক্ষ্ম ও শক্ত সুতো দিয়ে তৈরি জাল, যার মধ্যে একবার যদি এই নিরীহ পাখিটি ধরা পড়ে, তার আর নিস্তার নেই। এই হল ঘুঘুর ফাঁদ যা কিনা ঘুঘুর নিজেরও চোখে পড়ে না। সত্যজিৎ রায়ের ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ ছায়াছবির শেষ দৃশ্যে ফেলুদা বলেছিল মগনলাল মেঘরাজের উদ্দেশে, ‘ঘুঘু দেখেছ, ফাঁদ দেখনি।’ যারা এই ছবি দেখেছে নিশ্চয় মনে পড়বে। আমি যখন একমনে এই পক্ষিটিকে বসে দেখি, আমি ভাবতে থাকি, মানুষ কেন একে নিয়েই এইসব প্রবাদ তৈরি করল। আরো তো অনেক পাখি ছিল জগতে যারা অনেক বেশি ক্ষতিকারক। যেমন আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে ফিঙে—কালো রঙের, লেজটা তলার দিকে দু-ভাগ করা। এরা যখন বাসায় ডিম পাড়ে অথবা এদের বাচ্চারা ডিম ফুটে বেরোয়, তখন তারা সর্বক্ষণ তাদের পাহারা দিয়ে চলে। কোনো পাখিকে কাছে ঘেঁষতে পর্যন্ত দেয় না। এমনকি, মানুষ কাছে এলেও শোনা যায় যে এরা উড়ে এসে সরাসরি চোখে আক্রমণ করে। অথচ ঘুঘু সাতেও নেই পাঁচেও নেই, তাকে নিয়ে যতসব আজেবাজে প্রবাদ।
জীবনে আমি প্রবাদ অনুযায়ী ঘুঘুর বাসা দেখেছি আর সেই বাসাতে কর্মরত ঘুঘুদেরও দেখেছি, আবার সেইসব ঘুঘুদের অনেক সময় ফাঁদে পড়তেও দেখেছি। কিন্তু বাস্তবে ঘুঘু পাখির বাসা আমি দেখিনি, না দেখেছি তাদের ধরার ফাঁদ। আর সত্যি বলতে, আমি সেই ফাঁদ দেখতে মোটেও আগ্রহী নই।
২০২০ সালের এপ্রিল মাসটা আমাদের সকলের কাছে খুব স্মরণীয় হয়ে থাকবে করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯-এর প্রকোপের জন্য। এই সময়টা আমরা সকলেই গৃহবন্দি দেশকে বাঁচানোর জন্য। যেহেতু সেরকম কোনো কাজ করার নেই তাই এই সময়ের বিকেলে বাড়ির ছাদে আমি ক্যামেরা নিয়ে বসে থাকি এই আশায়, যদি কিছু বিরল পাখির দেখা মেলে। আমার ঠিক ছাদের সামনেই একটা কদম ফুলের গাছ আছে যেখানে বহু পাখি এসে বসে আর আমাকে সু্যোগ দেয় তাদের ছবি তোলার। আবার অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ করেছি, কিছু পাখির ছবি তোলার জন্য যেই না লেন্স ফোকাস করে শাটারটাকে চাপ দেব, ঠিক তখনই পাখিটা ডানা মেলে উড়ে যায়। কিন্তু আমি দেখি যে একটা ঘুঘু ঠিক ওখানেই ছিল আর ওর দৃষ্টি আমার দিকেই। গলা নাড়িয়ে ও ডেকে চলেছে। যেন আমায় বলছে, ‘এই, আমি তো বসে আছি সেই কখন থেকেই। আমার ছবি বুঝি তুলতে ইচ্ছে করে না?’
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি আর ওকে বোঝাই যে ওর অনেক ছবি আমার তোলা রয়েছে আর ঠিক এই লক-ডাউনের সময় আমি ওকে নিয়েই চিন্তাভাবনা করছি। আমার মনের অভিব্যক্তি ও যদি বুঝতে পারত কী ভালোটাই না লাগত।
আমি আজ পর্যন্ত স্বচক্ষে পাঁচরকমের ঘুঘু পাখি দেখেছি। সেগুলোর বর্ণনা আমি এক এক করে দেব। এই পাঁচ ধরনের ঘুঘুকে দেখে কোনোটাকেই মনে হল না যে এদের বাসা দুষ্কর্মের আড্ডাখানা হতে পারে। তবে একটা ব্যাপার আমি লক্ষ করে দেখেছি যে সব ঘুঘুরা নিজেদের প্রজাতির মধ্যেই থাকতে বেশি পছন্দ করে। অন্যান্য পাখিদের সঙ্গে বোধ হয় থাকতে ভালো লাগে না। একা অথবা জোড়ায় থাকতে পছন্দ করে। ঘুঘুর বাসা প্রবাদটির পেছনে একটা তথ্য বোধ হয় সঠিক। ঘুঘুরা যখন বাসা বানায়, অন্য পাখি এলে সমানে তাড়া করে বেড়ায়। নিজেদের এলাকা নিয়ে ভীষণ সচেতন এরা। অনুপ্রবেশ একবারে পছন্দ করে না। বাসায় কী হচ্ছে তা অন্যদের দেখার অধিকার নেই। এর থেকেই বোধ হয় প্রবাদ, ঘুঘুর বাসা।
কণ্ঠি-ঘুঘু
ইংরেজি নাম ইন্ডিয়ান রিং ডাভ অথবা ইউরেসিয়ান কলারড ডাভ (Indian Ring Dove or Eurasian Collared Dove)
প্রায় সর্বত্র পাওয়া যায়, এমনকি ১০,০০০ ফুট উঁচু পর্যন্ত। সারাক্ষণ যেখানে বসে থাকবে ‘কুক্-কু-কুক্করে’ ডাকতে থাকবে। গলার কাছে একটা কালো বলয় থেকেই এদেরকে কণ্ঠি-ঘুঘু বলা হয়। ওপরটা ধূসর পিঙ্গল, চোখের বলয় লাল, গলাটা সাদা, ঠোঁট ও পা কালো রঙের। সারাবছরে এরা ডিম পাড়ে দুটি করে। মানুষকে বিশেষ ভয় পায় না।
তিলে ঘুঘু (স্পটেড ডাভ)
সবথেকে সাধারণ ঘুঘুদের পর্যায়ে পড়ে এবং সর্বত্র দেখা যায়। এই ঘুঘুর গায়ে গোলাপি-বাদামি রঙের ওপর সাদা সাদা ছিট আছে এবং শরীরের নীচের রঙ ধূসর। এদের ঘাড়ের ওপর সাদাকালো একটা ছক আছে, অনেকটা দাবার ঘরের মতো। এরা নানানরকমের শস্যদানা ও বীজ খায়। এই দুই প্রজাতির ঘুঘু প্রায় সবসময় আমার বাড়ির জানালা দিয়ে দেখা যায়। সামনের কদমগাছে এরা জোড়ায় বসে থাকে। লক-ডাউন চলাকালিন আমি ছাদে গিয়ে এই দুই প্রজাতির গতিবিধি ভিডিও রেকর্ডিং করে রেখে দিয়েছি। এই সময় এটা আমার একটা নতুন শখ, পাখিদের ভিডিও রেকর্ডিং করা। প্রাথমিকভাবে এই দুই প্রজাতির ঘুঘু দিয়েই আরম্ভ করলাম।
রাম ঘুঘু (ওরিয়েন্টাল টার্টল ডাভ)
সাধরণত হিমালয়ের দিকেই দেখা মেলে। এর সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ কাশ্মীরে গিয়ে পহলগাঁও-এর কাছে চন্দনওয়াড়িতে। একটা ফাঁকা ছোটো মাঠে একাই ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর সকলেই নেহাত ঘুঘু বলেই হয়তো অবজ্ঞা করে থাকতে পারে, কিন্তু আমার চোখে সহজেই ধরা পড়ে গেছে। একাই ছিল ওই সময় পাখিটি আর মানুষও ছিল না। তাই আমার ওকে ধরতে সেরকম অসুবিধেই হয়নি। ধরতে পারা মানে কিন্তু আমার লেন্সে বন্দি করে নেওয়া। আকারে বেশ বড়সড়, প্রায় পায়রার মতো। ধূসর-লালচে রঙ, পিঠ ও ডানায় আঁশ-ছোপে ভরা। শস্যদানা ও বীজ, এমনকি ফুলের মুকুলও খায় এরা।
রাজ ঘুঘু(এমারেল্ড ডাভ)
আমার সঙ্গে এর সাক্ষাৎ গোরুমারার জঙ্গলে। কিন্তু খুব ভালো ছবি তুলতে সক্ষম হইনি কারণ, এরা অনেকটা দূরে ছিল আর একবারে গাছের মাথায় বসে। সেই সময় ভালো লেন্সও আমার হাতে ছিল না। তাই ছবির জন্য গুগলের শরণাপন্ন হতে হল।
পুরুষ ঘুঘুর মাথা ছাই রঙের, ঘাড় থেকে পেট ধূসর লালচে আর ডানাদুটি পান্নার মতো সবুজ। তাই ইংরেজিতে ‘এমারাল্ড ডাভ’ বলা হয়। পায়রাদের মধ্যে ডুকুল (গ্রিন ইম্পিরিয়াল পিজিয়ন)-এর সঙ্গে এই ঘুঘুকে অনেকেই গুলিয়ে ফেলতে পারে। কিন্তু এই পায়রাদের মাথা, বুক, পেট সাদা হয় আর ডানাদুটি সবুজ পান্নার মতো। পূর্ব ভারত জুড়ে ও হিমালয়ের পাদদেশে এদের দেখা যায়। আর পাওয়া যায় দক্ষিণ ভারতে।
২০১৫ সালে ভোরুকা মাউন্টেনিয়ারিং ট্রাস্টের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের মধুপুরে গিয়েছিলাম এক রক ক্লাইম্বিং কোর্সের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এবং ওখানে ক্যাম্পে থাকতে হয়েছিল চার রাত। সেই সময় বেশ কিছু জানা পাখি ওখানে পেয়েছিলাম। আর সঙ্গে পেয়েছিলাম এক অদ্ভুত ধরনের লালচে ঘুঘু পাখি। পরে এর ইংরেজি নাম জেনে আমার সত্যি খুব হাসি পেয়েছিল—লাফিং ডাভ (Laughing Dove)। ভাবা যায়! হাস্যময় ঘুঘু।
ইংরেজিতে এরকম নাম কে দিয়েছিল আমার জানা নেই, কিন্তু যে-ই প্রথমে এই নাম দিয়েছে তার কি মনে হয়েছিল যে ঘুঘুটি হাস্যময়? আমার তো দেখি একবারও মনে হল না যে ঘুঘুটা হাসছিল। বরং আমার মনে হল কেমন যেন গাল ফুলিয়ে গোমড়া মুখ করে বসে আছে গাছের ডালে। পরে অবশ্য জেনেছি যে ওর ডাক অনেকটা ‘হো হো’ করে হাসির মতো, তাই থেকে হয়তো এইরকম নাম। মধুপুরে যখন পাখিটিকে প্রথম দেখলাম তখন কেউই বলতে পারেনি ঘুঘুর প্রজাতি কী। সকলের কাছেই নতুন। কোর্সে অংশ নিতে আসা শিক্ষানবিসেরা জানতে চেয়েছিল যে ওটা কী পাখি। তখন ঘুঘু ছাড়া আর কিছুই বলতে পারিনি। আমার পরে মনে হয়েছিল, তখন যদি এর নামটা জানা থাকত তাহলে একটা হাসির রোল উঠত। বাংলা নাম আরো বেশ কয়েক বছর পর জেনেছি, খুদে ঘুঘু। হ্যাঁ, একটা কথা বলা যেতেই পারে যে অন্যান্য ঘুঘুদের চেয়ে আকারে ছোটো, কিন্তু ঠিক সেই কারণেই খুদে কি না বলতে পারব না। হিমালয় ছাড়া প্রায় সমগ্র ভারতেই দেখা যায়। ধূসর গোলাপি রঙের পাখি, ডানাদুটিতে ছাই রঙের ছোপ, গলার কাছে কালো ছিটে দাগ। লেজটা বেশ লম্বা।
এছাড়াও আরো দু-রকমের ঘুঘু দেখা যায় আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে। এক হল ‘বারড কুক্কু ডাভ’ (Barred Cuckoo Dove),
আরেক হল ‘আন্দামান কুক্কু ডাভ’ (Andaman Cuckoo Dove)। এর কোনোটারই বাংলা নাম আমার জানা নেই।
ঘুঘুদের নিয়ে খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলে বেশ কিছু কৌতূহলোদ্দীপক গল্প রয়েছে। যেমন জানা যায় যে ঈশ্বর একবার ঘুঘু পাখির রূপ ধরে যিশুর কাছে উপস্থিত হয়েছিলেন। খ্রিস্টানদের পুরোনো ধর্মগ্রন্থ বা ওল্ড টেস্টামেন্টে প্রচলিত আছে যে ঈশ্বর একবার নোয়া ও তার পরিবারকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে ওকে আদেশ দিয়েছিলেন একটা বিশালাকার নৌকা বানাতে মহাপ্লাবন থেকে বাঁচবার জন্য। কারণ, নোয়া একজন ভালো মানুষ ছিলেন। সেই নৌকাতে নোয়া নিজের পরিবার সমেত আরো মানুষ ও জীবজন্তুদের তুলেছিলেন মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা করার জন্য। সেইসব জীবদের মধ্যে ঘুঘুও ছিল যাকে নোয়া দেখতে পাঠিয়েছিলেন পৃথিবীর কোনো প্রান্ত থেকে জল সরেছে কি না। ঘুঘুটি তৃতীয়বার নৌকায় ফিরে এল খড়কুটো মুখে নিয়ে। নোয়া বুঝতে পারলেন যে ঘুঘুটি যেদিক দিয়ে এল সেখানে জল নেমেছে এবং নৌকাকে নোঙর দেওয়া যাবে। এমনিতেই খ্রিস্টানেরা ঘুঘুকে শান্তির প্রতীক মনে করে। তারা কখনোই ঘুঘু-পায়রাদের শিকার করে না।
এক পক্ষিপ্রেমিকের বইতে পড়েছিলাম যে একবার ওঁর কোন এক বন্ধু এক ঘুঘুকে গুলি করে মেরে ফেলেছিলেন। তখন উনি প্রত্যক্ষ করলেন যে সেই মৃত ঘুঘুটির সাথী ভয়ে উড়ে পালিয়ে না গিয়ে বার বার ফিরে এসে তার মৃত সাথীর দেহের পাশে এসে বসে থাকত।
ঘুঘুরা সত্যিই খুব শান্তিপ্রিয় পাখি। পুরুষ এবং স্ত্রী সবসময় একসঙ্গেই থাকে আর একে অপরকে খুব ভালোবাসে। কখনোই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতে দেখা যায় না। দৃশ্যটি চিন্তা করলেই চোখে জল গড়িয়ে আসে। আমরা মানুষেরা কতটা নিষ্ঠুর হতে পারি! আর সেই নিষ্ঠুরতার দাম আজ পৃথিবী জুড়ে মানুষকে দিতে হচ্ছে গৃহবন্দি হয়ে এক ভাইরাসের ভয়। এর মধ্যেই জানা যাচ্ছে, প্রকৃতি নিজেকে আবার তার মতো করে সাজিয়ে নিচ্ছে। এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে আমরা যে শিক্ষা পেলাম সেটাকে মনে রেখে প্রকৃতিকে তার মর্যাদাটুকু দিয়ে আবার সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
রাজ ঘুঘু, বার্ড্ কুকু ডাভ ও আন্দামান কুকু ডাভ (ছবি সৌজন্য গুগল) বাকি ছবি:লেখক
বনের ডায়েরি সব লেখা একত্রে