এই লেখকের আগের ছড়াঃ পিকনিক, গল্প নয়কো অল্প, গড়িয়ে হাঁটা, অনেক রাতে, রোদের ছানা, মুখ বন্ধ, সকরুণ কাহিনি,বনের খবর , এই ছড়াটা
হঠাৎ হুতুম হুতুম শুনে
যেই ভেবেছি পেঁচা,
ফিসিয়ে কে বলল কানে
পারিস যত চেঁচা।
তার ফেঁসা গলা, নাকি সুরে
চমকে চতুর্দশ,
চৌধুরীদের ভাঙা ঘড়ি
ঢঙিয়ে বাজায় দশ।
রাতদুপুরে কালোছায়া
ঠান্ডা যে শ্বাস ঘাড়ে,
হাড় হিমিয়ে, খিকখিকিয়ে
মাথায় চাঁটি মারে।
গেলই যখন প্রাণ বেঘোরে
সাহস জোগাই, ওরে—
মরতে যখন হবেই তখন
মরব লড়াই করে।
এই না ভেবে যেই না আমি
বাগিয়ে এগোই ছাতা,
মেজদা বোধহয় পালায় দেখি
ফেলে শীতের কাঁথা।
বীর হাম্বীর, লড়াই জিতে
কুড়িয়ে কাঁথা ঘরে,
ফিরে এসে আবার কেন
দাঁত ঠকঠক করে!
ওই তো মেজদা, চৌকি’পরে
গায়ে কাঁথা মোড়া,
আমার হাতের কাঁথায় কেন
মাছের গন্ধ ভরা?
তার উপরে সেলাই-ফোঁড়ে
কে লিখেছে কাব্যি—
‘বাঁচলি কেন? আজকে রাতে
সেটাই বসে ভাববি।
কালকে রাতে ইলিশ-ভাতে
রাখবি বাঁশের ঝাড়ে,
নইলে এবার, মটকাব ঘাড়
কে বাঁচাবে তোরে?’