এই লেখকের আগের ছড়া- আলিপুর ইশকুল

রাতের বেলা ওসব কথা বলিস না তো দাদা,
ভূত-পেত্নী দত্যি-দানো মোটেই নয় হাঁদা।
জানিস না তো ভয় না পেলে মটকে দেবে ঘাড়,
খপাত করে খাবলে খাবে তোর বুকের হাড়।
হাড় কখনও খাবলে খায়? ভিতুর ডিম তুই,
বল তো ভাই কী করেছেন পাস্তুর লুই?
বলব কেন ওসব নাম, এখন তিনি ভূত
তবে রে পাজি গাঁট্টা খাবি জ্যান্ত ভূতের পুত!
বাবাকে তুই ভূত বললি? দেখবি দাদা মজা,
বাটাম মেরে খাওয়াবে বাবা টাটকা জিবে গজা।
দ্যাখ তো ভাই জানালা পাশে ওটা কীসের ছায়া,
মনে লাগছে তেনারা বুঝি যাদের নেই কায়া।
ওরে বাবা রে বাঁচা রে দাদা, খেয়ে ফেলল ভূতে
বেশ হয়েছে কেমন মজা! যাচ্ছি আমি শুতে।
বাগে পেলেই জব্দ করা, নালিশ করা মিছে
তাকিয়ে দেখ পায়ের কাছে মস্ত কাঁকড়াবিছে।
ছোটো ভাইকে ক্ষমা করে দে, যাস না দাদা ছেড়ে
তোর পিছনে লাগব না রে বলছি মাথা নেড়ে।
ফিরলে বাবা থাকব আমি মুখে কুলুপ এঁটে,
মায়ের কাছে স্পিকটি নট স্টিকার নেব সেঁটে।
ফাটুক পেট তবুও আমি বলব না তো কাল,
পরশুদিন বলতে পারি না দিলে পেন লাল।
দাদার সাথে চালাকি করা? এত সাহস তোর!
বন্ধ ঘরে আসুক বাঘ নয়তো বিশে চোর।
দাদা রে তোর বুদ্ধি নেই, ডাকাত হল বিশে
উদোর নাম বুদোর ঘাড়ে, লোহার দরে সিসে?
হতচ্ছাড়া বদের গোড়া ধরিস দাদার ভুল?
পায়ে পড়ি রে ব্রাদার তোর কুল রে দাদা কুল।
ওরে বাপ রে আটটা বাজে এখন কী যে করি!
ফিরলে বাবা ধরবে পড়া ভাঙবে পিঠে ছড়ি।
ফালতু যত ঝগড়া করে সব হল ভণ্ডুল,
মা বলবে ভাত বন্ধ আজ খাও তণ্ডুল।
ভাই রে ভাই জলদি আয় চেঁচিয়ে করি পড়া,
ওই শোন রে বেজে উঠল ঘটাং ঘট কড়া।
উদ্ভুট্টি ফালতু কথা ওটা কলিং বেল,
খুব হয়েছে পাণ্ডিত্য, খালি কথার শেল।
পাপান-পুপু কোথায় তোরা, বাধাসনি তো গোল?
এসব কী রে, বালিশ কই? পড়ে আছে যে খোল!
আমি নই মা, এসব কাজ করেছে একা দাদা
জানো তো আমি শান্ত ছেলে মনেতে নেই কাদা।
ভূত-পেত্নী দত্যি-দানো মোটেই নয় হাঁদা।
জানিস না তো ভয় না পেলে মটকে দেবে ঘাড়,
খপাত করে খাবলে খাবে তোর বুকের হাড়।
হাড় কখনও খাবলে খায়? ভিতুর ডিম তুই,
বল তো ভাই কী করেছেন পাস্তুর লুই?
বলব কেন ওসব নাম, এখন তিনি ভূত
তবে রে পাজি গাঁট্টা খাবি জ্যান্ত ভূতের পুত!
বাবাকে তুই ভূত বললি? দেখবি দাদা মজা,
বাটাম মেরে খাওয়াবে বাবা টাটকা জিবে গজা।
দ্যাখ তো ভাই জানালা পাশে ওটা কীসের ছায়া,
মনে লাগছে তেনারা বুঝি যাদের নেই কায়া।
ওরে বাবা রে বাঁচা রে দাদা, খেয়ে ফেলল ভূতে
বেশ হয়েছে কেমন মজা! যাচ্ছি আমি শুতে।
বাগে পেলেই জব্দ করা, নালিশ করা মিছে
তাকিয়ে দেখ পায়ের কাছে মস্ত কাঁকড়াবিছে।
ছোটো ভাইকে ক্ষমা করে দে, যাস না দাদা ছেড়ে
তোর পিছনে লাগব না রে বলছি মাথা নেড়ে।
ফিরলে বাবা থাকব আমি মুখে কুলুপ এঁটে,
মায়ের কাছে স্পিকটি নট স্টিকার নেব সেঁটে।
ফাটুক পেট তবুও আমি বলব না তো কাল,
পরশুদিন বলতে পারি না দিলে পেন লাল।
দাদার সাথে চালাকি করা? এত সাহস তোর!
বন্ধ ঘরে আসুক বাঘ নয়তো বিশে চোর।
দাদা রে তোর বুদ্ধি নেই, ডাকাত হল বিশে
উদোর নাম বুদোর ঘাড়ে, লোহার দরে সিসে?
হতচ্ছাড়া বদের গোড়া ধরিস দাদার ভুল?
পায়ে পড়ি রে ব্রাদার তোর কুল রে দাদা কুল।
ওরে বাপ রে আটটা বাজে এখন কী যে করি!
ফিরলে বাবা ধরবে পড়া ভাঙবে পিঠে ছড়ি।
ফালতু যত ঝগড়া করে সব হল ভণ্ডুল,
মা বলবে ভাত বন্ধ আজ খাও তণ্ডুল।
ভাই রে ভাই জলদি আয় চেঁচিয়ে করি পড়া,
ওই শোন রে বেজে উঠল ঘটাং ঘট কড়া।
উদ্ভুট্টি ফালতু কথা ওটা কলিং বেল,
খুব হয়েছে পাণ্ডিত্য, খালি কথার শেল।
পাপান-পুপু কোথায় তোরা, বাধাসনি তো গোল?
এসব কী রে, বালিশ কই? পড়ে আছে যে খোল!
আমি নই মা, এসব কাজ করেছে একা দাদা
জানো তো আমি শান্ত ছেলে মনেতে নেই কাদা।