প্রথম ধাঁধা-
একটা বাড়িতে ১, ২, ৩, ৪ চারটে ফ্লোর আছে। যত উঁচু ফ্লোর তাতে তত বেশি মানুষ থাকে। সবচেয়ে নীচের এক নম্বর ফ্লোরে সবচেয়ে কম মানুষ থাকে। সবচেয়ে ওপরের চার নম্বর ফ্লোরে সবচেয়ে বেশি মানুষ থাকে। কোন ফ্লোরটায় সবচেয়ে বেশি বার লিফট যায়?
দ্বিতীয় ধাঁধা-
একটা বই আর সেটাকে পাঠাবার জন্য একটা খামের মোট দাম ১১০ টাকা। বইটার দাম খামের দামের চেয়ে ১০০ টাকা বেশি। খামের দাম কতো?
তৃতীয় ধাঁধা-
সঙ্গের ছবিটায় সবচাইতে কম কটা চাকতিকে সরিয়ে ত্রিভূজটাকে উলটে দেয়া যায়?
চতুর্থ ধাঁধা
টিঙ্কুর ঠাম্মা থাকে দক্ষিণেশ্বরে, দিম্মা থাকে গড়িয়ায়। টিঙ্কু থাকে শোভাবাজারে। ঠাম্মা দিম্মা দুজনেরই দাবি রোববার রোববার নাতিকে একবার মুখ দেখিয়ে যেতে হবে। এদিকে একই দিনে দুখানা আলাদা জায়োগায় তো আর যাওয়া যায় না! শেষে টিঙ্কু দুজনকে ডেকে বলল, “আমি রোববার সকাল হোক দুপুর হোক বিকেল হোক যখন পারি মেট্রো স্টেশানে আসব, তারপর প্ল্যাটফর্মে নেমে প্রথম যে ট্রেনটা পাব সেটায় উঠে পড়ব। সেটা আপ ট্রেন হলে সেদিন ঠাম্মার বাড়ি, আর ডাউন ট্রেন হলে সেদিন দিম্মার বাড়ি।
দুই বুড়িই তাতে রাজি। কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই টিঙ্কুর। দু লাইনে বিশ মিনিট বাদে বাদে ট্রেন আর প্রত্যেকটা আপ ও ডাউন ট্রেনের ভেতর সময়ের তফাৎ ঠিক চার মিনিটের। আপ লাইনে ট্রেন আসে ধরো সকাল ৬-০০, ৬-২০, ৬-৪০, ৭-০০ ৭-২০… এইভাবে আর ডাউন লাইনে আসে ৬-০৪, ৬-২৪ , ৬-৪৪, ৭-০৪, ৭-২৪ এইভাবে। তার মানে সব ঠিকঠাক চললে টিঙ্কু দুজনের বাড়িতেই সমান সংখ্যক দিন দেখা করতে আসবে।
তা কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল টিঙ্কুর ঠাম্মা খুব খুশি। টিঙ্কু তাঁর কাছে বেশি বেশি আসছে। ওদিকে দিম্মার মুখভার। টিঙ্কু কিন্তু দিব্যিদিশেলা দিয়ে বলে যাচ্ছে আমি কোনো হিসেব করে স্টেশনে আসছি না। আর নিয়মমতই যে ট্রেন সামনে আসছে সেটায় উঠেই রওনা দিচ্ছি।
প্রশ্ন হল, টিঙ্কু কেন ঠাম্মার বাড়ি বেশি যায়?
উত্তর-
১ নং ধাঁধা- ১ নম্বর ফ্লোরে
২ নং ধাঁধা- ৫ টাকা
৩ নং ধাঁধা- ২
৪ নং ধাঁধা। যেকোনো একটা ঘণ্টা ধরে দেখো। ধরা যাক দুপুর বারোটা থেকে একটা
টিঙ্কু যদি ১২০০-১২০৪, ১২২০-১২২৪ , ১২৪০-১২৪৪ এবং ০১০০-০১০৪ এই সময়গুলোর মধ্যে আসে তাহলে সে আসবার পর প্রথমেই ডাউন ট্রেন পাবে। অর্থাৎ এক ঘণ্টা চার মিনিটের মধ্যে মোট ২০ মিনিটের উইন্ডোয় সে স্টেশনে এলে, আসবার পর প্রথমে ডাউন ট্রেন আসবে। আর বাকি ৪৪ মিনিটের উইন্ডোয় স্টেশনে এলে সে আপ ট্রেন পাবে। অর্থাৎ দিনের যেকোনো সময়েই স্টেশনে এলে তার ঠাম্মার বাড়ি যাবার ট্রেন পাবার সম্ভাবনা দিম্মার বাড়ি যাবার ট্রেন আসবার সম্ভাবনার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি।