(১)
অবিভক্ত বাংলার এক অখ্যাত আধা মফস্সল শহর সেপাইগঞ্জ। স্কুল, ব্যাঙ্ক, থানা, মন্দির, বড়ো হাট নিয়ে নিজের মতো করে বেঁচে থাকে এই শহর। একেবারে পশ্চিমপ্রান্তে একটা জঙ্গল আছে। সেখানে নাকি ভূত থাকে। বাবাকে বলতেই তিনি হেসে ওঠেন। দুর্গার দিকে তাকিয়ে থেকে বলেন, “না রে মা। ওসব মনের ভুল। আর ভূত যদি থেকেও থাকে, তবে তারা মানুষের ক্ষতি করে না। কারা মানুষের ক্ষতি করে জানিস? ওই জঙ্গলের হিংস্র সাপের চেয়েও ভয়ানক, শেয়ালের চেয়েও ধূর্ত আর বাঘের চেয়েও নৃশংস ব্রিটিশ সরকার। ওরা আমাদের সোনার দেশটাকে শ্মশান বানিয়ে রেখেছে।”
তিনি আরও বলেন কীভাবে ১৮৫৭ সালে বিদ্রোহী সিপাহিরা এই শহর দখল করে নিয়েছিল, কীভাবে ব্রিটিশ সরকার সেনাবাহিনী এনে তাদের তোপের মুখে উড়িয়ে দিয়েছিল, কীভাবে তারপর এই শহরের নাম রঘুপুর থেকে বদলে সেপাইগঞ্জ হয়ে যায়।
বলতে বলতে তাঁর গলা কেঁপে ওঠে, তবু তিনি বলে চলেন, “জানিস মা, জালিয়ানওয়ালাবাগে প্রতিটি মানুষ নিরস্ত্র ছিল, পুলিশকে তারা বিশ্বাস করেছিল। তারা ভেবেছিল পুলিশ নিরস্ত্রদের মারবে না। কিন্তু শয়তান ডায়ার গুলি চালিয়ে হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলল। শুধু তাই নয়, যাতে কেউ এর প্রতিবাদ না করতে পারে, তার সঙ্গে চালু হল অত্যাচারী আইন, কাউকে বিন্দুমাত্র সন্দেহ হলেই জেলে ভরো, যতদিন খুশি আটকে রাখো, কোনও বিচার হবে না, আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ নেই, যাকে ইচ্ছা হয় ধরে জেলে পোরো আর মারো। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নাইট উপাধি ত্যাগ করলেন।”
তারপর তিনি মাস্টারদা সূর্য সেনের গল্প শোনান; ঋষি অরবিন্দ, বাঘা যতীন, ক্ষুদিরাম বসুর গল্প শোনান। বলেন, দেশের কাজে দেশের ছেলেদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। শুধু ছেলে নয়, মেয়েদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। শোনান ভগিনী নিবেদিতার কথা, যিনি ভারতবর্ষের বাইরে জন্মেও ভারতবাসীদের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। শোনান প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের কথা। বলেন, “এঁদের বলিদান বৃথা যেতে পারে না। আরও অনেককে এগিয়ে আসতে হবে।” বলতে বলতে কাঁদেন।
ছোট্ট দুর্গা সবকিছু না বুঝলেও তার মনও অজানা ব্যথায় দুমড়ে যায়। বাবা বাইরে কাজ করতে যেতেন। একদিন আর ফেরেন না। ফিসফাস শোনা যায় তিনি ডাকাতি করে পালাতে গিয়ে গুলি খেয়েছেন। দুঃখ সহ্য করতে না পেরে মাও মারা যান। দুর্গা ওই কথা বিশ্বাস করে না। যে বাবা গরিব-দুঃখীদের সেবা করার কথা বলতেন, কারও বিপদ হলে সবার আগে ছুটে যেতেন, তিনি ডাকাত হতে পারেন না। ওর দাদা বিমলও বিশ্বাস করে না। বলে, “সব মিথ্যা।”
এখন সে আর তার পাঁচ বছরের বড়ো দাদা ছাড়া আর কেউ এই বাড়িতে থাকে না। মোট বয়ে, দিনমজুরি খেটে বিমল যা উপার্জন করে, তাতেই কোনোমতে দুজনের সংসার চলে।
এইভাবে কয়েক বছর কেটে যায়। একদিন বিমল কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফিরতেই দুর্গা প্রশ্ন করে, “এটা কী দাদা?”
বিমল দুর্গার হাতের দিকে তাকিয়েই চমকে ওঠে। এই কাগজটা তো… বাবা-মা মারা যাবার আগে তারা ভাইবোন দুজনেই স্কুলে যেত। তাই দুর্গা কাগজটা পড়তে পেড়েছে নিশ্চয়ই। বিমল আর নিজেকে লুকোনোর চেষ্টা করে না। ধীর অথচ সংযত কণ্ঠে বলে ওঠে, “কিছু বছর আগে এখানে অনুশীলন সমিতির একটা গোপন ডেরা গড়ে উঠেছে বোন। আমি সেখানেই যাই মাঝে মাঝে। ওটা দলের কাগজ। জানিস বোন, আমাদের বাবাও বিপ্লবী ছিলেন। আমাদের দলের প্রধান ধীরেনদা বলেছেন। তিনি বাবাকে খুব শ্রদ্ধা করেন। বাবা দলের কাজে কালীগ্রাম গেছিলেন। সেখানেই পুলিশ সুপার স্টিভেনসন তাঁকে ও তাঁর দুজন সঙ্গীকে গুলি করে মারে। রটিয়ে দেয়, তাঁরা ডাকাত ছিলেন। ওরা এরকমই করে। যারা দেশকে ভালোবাসে তারা ডাকাত, আর যারা অন্য দেশ থেকে আমাদেরকে লুটে নিচ্ছে তারা সাধু পুরুষ। বাবাও একই কথা বলতেন আমাদের। তোর মনে আছে? আমি তার অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ করব। এ দেশ থেকে ওদের তাড়িয়ে দেব।”
“শুধু তুমি নও, আমরা। আমিও অনুশীলন সমিতিতে যোগ দেব। আমাকে নিয়ে চলো।”
“না বোন। ও বড়ো ঝুঁকির কাজ। মৃত্যু যখন তখন ওত পেতে থাকে। তোর আমি বিয়ে দেব। তুই সংসার করবি। আমি তারপর চলে যাব।”
“আমি কেন দেশের কাজ করতে পারব না? মেয়ে বলে? ভারতমাতা স্বয়ং নারী। নাকি তোমার বোন বলে? দলের প্রত্যেকই তো কারও না কারও আত্মীয়, দাদা।”
সহসা এ প্রশ্নের মুখে জবাব খুঁজে পায় না সে। তারপর বলে, “তা ঠিক। দেশবন্ধুও অসহযোগ আন্দোলনের সময় তাঁর স্ত্রী আর ছেলেকে আগে জেলে পাঠিয়েছিলেন। বলেছিলেন, নিজের ছেলেকে আগে না বিপদে পাঠালে, অন্যের ছেলেকে ডাকব কী করে? ঠিক আছে বোন, তোকে আমি আটকাব না।”
সেদিন থেকে শুরু হয় দুর্গার নতুন জীবন।
(২)
মাত্র এই ক’দিনেই দলের সকলের প্রিয়পাত্রী হয়ে উঠেছে দুর্গা। সেও এতগুলো দাদা বা ভাই পেয়ে খুব খুশি। এখন বাড়ির বাগানের কিছু শাকসবজি নিয়ে হাটে যায় সে। হাট ছাড়া অন্যদিন শহরের বাজারে যায় দাদার সঙ্গে। অন্তত বাকি সকলে তাই জানে। কিন্তু আমাদের অজানা নেই, সপ্তাহের বাকি দিনগুলো সে জঙ্গলে অনুশীলন সমিতির বাকি সদস্যদের সঙ্গে লাঠিখেলা শেখে, বন্দুক চালানো শেখে।
সেদিন হঠাৎ সমিতির প্রধান ধীরেন সেন সকলকে একসঙ্গে গোপন ডেরায় মিলিত হবার নির্দেশ দেন। মনে হয় খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলার আছে তাঁর। সকলে পৌঁছে যেতেই তিনি বললেন, “একটা খুব ভালো খবর আছে। এবার তোমাদের দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ এসেছে।”
“কী কাজ, ধীরেনদা?”
“কালীগ্রামের পুলিশ সুপার স্টিভেনসন কিছু কাজের জন্য সেপাইগঞ্জ আসছে। বিপ্লবীদের আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। আর সে-কাজের ভার পড়েছে তোমাদের উপর।”
এ-কথা শুনেই একটা চাপা আনন্দের রোল ওঠে সবার মধ্যে। ধীরেন সেন কিন্তু ধীরস্থির, তিনি ঠান্ডা মাথার মানুষ। শান্ত গলায় বলেন, “কাজটা কিন্তু সহজ হবে না। তাকে অষ্টপ্রহর পুলিশে পাহারা দেয়। কাছে যাওয়াই মুশকিল।”
“তবে ?” আরেকটি ছেলে প্রশ্ন করে।
তিনি তেমনই শান্ত গলায় বললেন, “স্টিভেনসন এখানে বেশ কিছুদিন থাকবে। আমরা প্রথম কয়েকদিন তাকে তীক্ষ্ণভাবে অবজার্ভ করব। তার প্রতিটা চালচলন আমাদের লক্ষ রাখতে হবে। তারপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।”
(৩)
অবশেষে সুযোগ এল। স্টিভেনসন সেপাইগঞ্জ পৌঁছানোর তিনদিনের মধ্যেই তাদের সবার ডাক পড়ল গোপন ডেয়ার। সকলে পৌঁছতেই ধীরেন সেন বলতে শুরু করলেন, “সবাই শোনো, গত দু-দিন ধরে আমি স্টিভেনসনের উপর নজর রেখে চলেছি। তার ফল খুবই আশাপ্রদ। আমি দেখেছি অন্য সময় সে রক্ষী-পরিবৃত হয়ে ঘুরলেও প্রতিদিন সকালে মর্নিং ওয়াকের সময় তুলনামূলকভাবে পুলিশ অনেক কম থাকে। দু-তিনজনের বেশি নয়। হয়তো সেপাইগঞ্জের বিপ্লবী বদনাম না থাকার কারণেই এই ঢিলেমি। ঠিক এই সুযোগটাই আমাদের কাজে লাগাতে হবে। তবে এতে আমাদের দুর্গার সাহায্য লাগবে। সে ফলওয়ালি সেজে ওই সাহেবের কাছে ভেট দেবার অছিলায় সহজেই যেতে পারবে, যা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু এ-কাজে ঝুঁকি আছে বিস্তর, এমনকি ধরা পড়লে…” তিনি একটু থামলেন। অমন বজ্রকঠিন চোখ থেকে কি জল গড়িয়ে পড়ল?
“এমনকি ধরা পড়লে ওরা তোমায় প্রচণ্ড অত্যাচার করতে পারে। তাই তোমায় প্রাণত্যাগও করতে হতে পারে। তুমি কি প্রস্তুত বোন?”
দুর্গা এগিয়ে এসে বলল, “হ্যাঁ দাদা, আমার বাবা আর আমার দেশের হাজার হাজার ভাইবোনের হত্যার বদলা, কোটি কোটি ভারতবাসীর অত্যাচারের বদলা আমি নেব।”
এবার ধীরেন সেন তাকান বিমলের দিকে। সে কোনোমতে কান্না চেপে বলে, “হ্যাঁ ধীরেনদা, ও যখন নিজে দেশের জন্য বলিদান দিতে চায়, আমি বারণ করার কে?” তারপর কান্নায় ভেঙে পড়ে।
ধীরেন সেনেরও কষ্টে বুক ফেটে যায়, কিন্তু সব দুঃখ চেপে নেতাসুলভ মানসিকতায় তিনি বিমলকে শান্ত করেন, সবাইকে প্ল্যান বুঝিয়ে দেন।
(৪)
স্টিভেনসন ঘুরে বেড়াচ্ছিল নদীর ধারে। সঙ্গে দুই নেটিভ পুলিশ বিমলেন্দু মুখার্জি এবং হরিহরণ সিং। দূর থেকে এক ফলওয়ালিকে আসতে দেখে তাদের হাঁটা থামল। ফলওয়ালিটি তাদের সামনে এসে মাথা নত করে বলল, “আজ্ঞে, আমি কাছেই থাকি। শুনলুম পুলিশ সায়েব এয়েছেন গ্রামে। উনারা সায়েব মানুষ, দণ্ডমুণ্ডের কত্তা। ভাবলাম যাই কিছু ফল ভেট দিয়ে আসি গে। গরিব মানুষ, আর কিছু তো নাই।”
স্টিভেনসন ঘাড় নেড়ে বলল, “ওয়েল।”
দরিদ্র ফলওয়ালির উপর তার বিন্দুমাত্র সন্দেহ হয়নি। তাছাড়া এতদিনে গ্রামের এরকম অনেক মানুষই তাকে ভেট দিয়ে গেছে। হঠাৎ একটা ঝটাপটির আওয়াজে ঘাড় ঘোরাল সবাই। দুটি ছেলে মারামারি করছে, একজনের মুখ ফেটে রক্ত পড়ছে। হরিহরণ “ক্যায়া হো রহা হ্যায়?” জিজ্ঞেস করাতেই তাদের একজন বলে উঠল, “একে চেনেন না স্যার। আমার থেকে টাকা ধার নিয়েছিল। এখন বলছে দেবে না। দেখি কেমন করে না দেয়!”
আরেকজনও সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল, “মিথ্যুক! আমি সেই টাকা আগেই তোকে দিয়েছি। তুই এত বড়ো শয়তান যে আরও টাকা আমার থেকে নেবার চেষ্টা করছিস!”
এই শুনে “তবে রে!” বলে প্রথম ছেলেটি দ্বিতীয় ছেলেটির গলা টিপে ধরে। তা দেখে স্টিভেনসন চেঁচিয়ে ওঠে, “উহাদের থামাও।”
সঙ্গে সঙ্গে হুকুম তামিল করতে ছোটে বাকি দুই পুলিশ। কিন্তু ছেলে দুটোর সামনে যেতেই একটা ‘গুড়ুম’ শব্দে কেঁপে ওঠে তারা। এতক্ষণ ছেলে দুটোকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কেউ লক্ষ করেনি কখন ফলওয়ালিরূপী দুর্গার হাতে উঠে এসেছে ফলের ঝুড়িতে লুকিয়ে রাখা পিস্তল। সেই পিস্তলের একটা গুলি আমূল বিদ্ধ করেছে স্টিভেনসনের বুক। সে লুটিয়ে পড়েছে মাটিতে। পুলিশ দুটো ঘুরে দাঁড়ায়। যেন এরই প্রতিক্ষায় ছিল ছেলে দুটো। তারা পেছন থেকে পুলিশ দুজনকে জাপটে ধরে ঘাড়ের কাছে এক মোক্ষম আঘাতে মাটিতে শুইয়ে দেয়। দুর্গা পালিয়ে যায় সেখান থেকে, সামনের জঙ্গলে তাকে আত্মগোপন করতে হবে। ছেলে দুটিও পালাতে যায়, কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় ছিল না। হঠাৎ বিমলেন্দু পা চেপে ধরে একজনের, তার আঘাত বোধ হয় খুব গুরুতর নয়। সে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়। বিমলেন্দুকে আরেকটা আঘাত করে একেবারে শুইয়ে দেয় আরেকজন, বিমল। প্রথম ছেলেটি যার নাম সুহাস, তার পা মচকে গেছিল মারাত্মকভাবে। সে কাতর আবেদন করে, তাকে ফেলে রেখেই যেন বিমল পালিয়ে যায়। কিন্তু বিমল তাকে ধরে ধরে যতটা তাড়াতাড়ি পারে এগোতে থাকে। তারা জানত না ইতিমধ্যে বেশকিছু পুলিশ গুলির আওয়াজ শুনে ও স্টিভেনসন ও পুলিশ দুজনকে পড়ে থাকতে দেখে তাদের পিছু নিয়েছে। আহত সুহাস ও বিমল বেশিদূর যেতে পারে না। স্মিথের নেতৃত্বে পুলিশের দল তাদের গ্রেপ্তার করে। হরিহরণও জলের ছিটেয় চোখ খুলে জড়িয়ে জড়িয়ে দুর্গার কথা তাদের বলে দেয়। বেশ কিছু পুলিশ জঙ্গলে ঢুকে পড়ে তাকে ধরতে। এদিকে দুর্গাও জঙ্গলে ছুটতে গিয়ে কয়েকবার পড়ে গিয়ে ভালো চোট পেয়েছে। তবু সে ছুটে চলে। পেছনে ভারী বুটের শব্দ পাওয়া যায়। আরও জোরে ছুটতে থাকে দুর্গা। পুলিশগুলো একবার যদি তাকে ধরতে পারে তাহলে দলের বাকি সদস্যদের নাম জানতে চাইবে, না বললে চলবে অকথ্য অত্যাচার। যদিও দুর্গা প্রাণ থাকতে কখনোই দলের বাকি কারও নাম বলবে না, তবু ধরা দেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
নাহ্, আর মনে হয় ওদের কবল থেকে বাঁচা সম্ভব নয়। পায়ের শব্দ খুব কাছে এগিয়ে এসেছে। আর বেশিক্ষণ জঙ্গলের গাছ তাকে আড়াল করতে পারবে না। তবে কি সে ধরা পড়ে যাবে? কক্ষনও না। ওই ব্রিটিশ পুলিশগুলোকে বোকা বানানোর ব্যবস্থা আগেই করা আছে। একটা গাছের নীচে দাঁড়িয়ে ঝুড়ির ভেতর থেকে কাগজের পুরিয়াটা বের করল সে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাছটার নীচে পৌঁছে গেল স্মিথের নেতৃত্বে পুলিশের পুরো দলটা। সেখানে তখন দুর্গার নিথর দেহটা পড়ে আছে। পটাশিয়াম সায়ানাইড তাঁর প্রাণ নিয়েছে।
স্বীকরোক্তি: এটি একটি সম্পূর্ণ কল্পিত গল্প। সমস্ত চরিত্র, ঘটনা এবং স্থান লেখকের মনগড়া। বাস্তব বা ইতিহাসের সঙ্গে কোনও মিল থেকে থাকলে তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত।
অলঙ্করণ- অংশুমান