ট্রোফি
-আরে বাঃ! এতবড়ো গোটা ভেটকি! কেজিদশেক তো হবেই। তা, কত করে নিল মশাই?
-আজ্ঞে না। কিনিনি।
-তাহলে ছিপে ধরলেন বুঝি? কোন পুকুরে?
-আগে না। ছিপেও ধরিনি।
-তাহলে?
-আজ্ঞে ম্যারাথনে ট্রোফি জিতেছি।
-ম্যারাথন? এ তো সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার! হাজার হাজার দৌড়বাজকে পেছনে ফেলে…
-আজ্ঞে না। কমপিটিটর ছিল আমি বাদে আর মোটে তিনজন। মাছের দোকানদার আর দুজন পুলিশ।
চোর
আন্তর্জাতিক খাদ্যমেলায় দুই বন্ধুর দেখা। প্রথমজন দ্বিতীয়জনকে বলল, “লেবানিজ স্টল থেকে তিনটে বড়ো বড়ো কাবাব ঝেড়েছি। স্লাইট টেরও পায়নি।এই দ্যাখ, বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।
দুনম্বর: অ্যাট লিস্ট একটা আমায় দে!
একনম্বর: ইল্লি আরকি! ক্ষমতা থাকলে নিজে গিয়ে ঝেরে আন না! ধরতে পারলে চামড়া ছাড়িয়ে নেবে। ওসব তোর মত ভালোছেলের কাজ নয়।
দুনম্বর: আচ্ছা চল। তবে চুরি করতে পারব না। একটাই নেব। সবার চোখের সামনেই নেব।একটা তোর জন্য একটা আমার জন্য। কেউ কিচ্ছু বলবে না।
একনম্বর: হতেই পারে না।
দুনম্বর: হবে। লোকে হাততালিও দেবে।চল আমার সঙ্গে, করে দেখাচ্ছি।
একনম্বরকে সঙ্গে করে নিয়ে দোকানে গিয়ে দুনম্বর, সাজানো ট্রে থেকে একটা বড়ো কাবাব প্লেটে তুলে নিয়ে সেটা কপকপ করে খেয়ে ফেলে দোকানের মালিকের কাছে গিয়ে বলল, “থ্যাঙ্ক ইউ।”
মালিক বলল, “একশো টাকা দাও।”
দুনম্বর: টাকা? ধুস। আমারতো পকেট ফাঁকা।”
মালিক: কী বললি? আজ তোকে…
দুনম্বর: আরে দাঁড়াও দাঁড়াও। তোমরা লেবাননে ইন্ডিয়ান ম্যাজিকের কথা বোধ হয় শোনোনি। আমি একজন ইন্ডিয়ান ফকির। জামাপ্যান্টুল পরে ছদ্মবেশে শহরে ঘুরছি। আমার ম্যাজিকে তুমি সন্দেহ করো?
মালিক: কাবাশতো কাবাশতো (লেবাননের গালাগালি)
দুনম্বর: তাহলে এই দেখ। গিলিগিলি হু ছু পু তুঃহহহহহ। নাও হয়ে গেছে।
মালিক: কী হয়ে গেছে?
দুনম্বর: (এক নম্বরের দিকে দেখিয়ে) আমার বন্ধুর ঝোলায় হাত ঢুকিয়ে দেখো। একটা কাবাব ওখানে তিনটে হয়ে ফিরে এসেছে। ওর একটা তুমি ফেরৎ পাবে। বাকি দুটো আমাদের।