সেটা ছিল পূর্ণিমার রাত।
মন্দির নামে পাহাড়ের ধারের জঙ্গলে ঘেরা একটা গ্রামে সাপুরা নামে একটা লোক থাকত। মোটা চেহারার লম্বা লোকটা জঙ্গলের শুকনো কাঠ কেটে শহরে বিক্রি করত।
সে রাতে যখন সে ঘুমিয়ে ছিল, তখন তার ঘুম ভেঙে গেল একটা ‘উউউ…’ শব্দে। আওয়াজটা আসছিল পাহাড়ের দিক থেকে।
সাপুরা ঘর থেকে বেরিয়ে কিসের আওয়াজ দেখতে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পাহাড়ের দিকে হাঁটা লাগাল। কিছুকে ভয় না পেলেও সে সঙ্গে নিল তার কাঠকাটার কুড়ুলটা। কি জানি যদি কোন বিপদ হয়।
জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সে একটা জিনিস দেখে খুব অবাক হয়ে গেল। একটা লোকের কাটা মাথা জঙ্গলে পড়ে আছে। সে নিজের মনেই বলে উঠল “আরে এখানে মানুষের কাটা মাথা এলো কোথা থেকে? ওর শরীরটা কোথায়?”
তখন ভোর হয়ে গেছিল। সে পাহাড়ের দিকে না গিয়ে গ্রামে ফিরে এসে সবাইকে ওই কাটা মুণ্ডুর কথা বলল।
তার কথা শুনে গ্রামের কয়েকজন ব্যাপারটা কী দেখতে জঙ্গলের দিকে চলল।
গিয়ে তারা দেখল মুণ্ডুটা যে কার তা বোঝার উপায় নেই। মুণ্ডুর গায়ে আর মাংস লেগে নেই। পড়ে আছে শুধু মাত্র রক্তমাখা একটা খুলি।
তারা ভালো করে লক্ষ্য করে দেখল যে কতগুলো কুকুরের মতো পায়ের ছাপ মাটিতে ফুটে আছে।কিন্তু পায়ের ছাপগুলোতে সাতটা করে নখের দাগ।
তখন গ্রামের এক বুড়ো বলে উঠল “আরে সাত নখওয়ালা আবার কোন জন্তু হয় নাকি?”
তখন আর একজন বলে উঠল “আরে আমার দাদুর কাছে শুনেছিলাম যে সাতনখ ওয়ালা এক প্রাণী নাকি ওই পাহাড়ের এক গুহায় থাকে, শুধু পুর্নিমার রাতে সে গুহা থেকে বেরিয়ে শিকার খুঁজতে বেরোয়। আর এমনভাবে চিৎকার করে যে তার আওয়াজ কানে গেলেই শিকার তার দিকে হাঁটা দেয়। জন্তুটার আওয়াজ নাকি নেকড়ের মতো,” তারপর সে সাপুরার দিকে ঘুরে বলল “তুই বড় বাঁচা বেঁচে গেছিস, তোর আগেই কেউ ডাক শুনে এসেছিল আর সাতনখের শিকার হয়েছে। কিন্তু লোকটা কে?”
বাঃ, খুব সুন্দর ঝরঝরে লেখা। জানতে চাই খুদেরা ও বড় রা লেখা আঁকা পাঠাতে চাইলে কি করতে হবে?
LikeLike
এই লিঙ্কে দেখে নিন প্লিজ
https://joydhakweb.in/submit/
LikeLike