মা দুপুরবেলা ঘুমোচ্ছে। আমি গিরীন্দ্রশেখর বসুর লেখা “লাল কালো” পড়ছি। যেই না “গিরগিটির অম্বল হয়েছে” পর্যন্ত পড়েছি, ওমনি দেখি বইয়ের পাতার সব অক্ষরগুলো লাফিয়ে উঠে দাঁড়ালো সামনে। ‘ত’ বলল, “না, বসে থাকলে আর চলছে না। বসে থেকে থেকে পায়ে ঝিঁ ঝিঁ ধরে গেছে।” তখন ‘ন’ বলল, “আচ্ছা মানুষদের মতো আমাদেরও একটা অলিম্পিক কেন নেই? তাহলে বেশ হাত, পাগুলোর এক্সারসাইজ হত।” একটু থেমে আবার বলল, “কী ‘ক’, কিছু বলছ না যে!” ‘ক’ বলল, “কী আর বলব, আমি তো ‘র’ এর মতো বুদ্ধিমান নই। ওকেই জিজ্ঞেস করো বরং।” সব শুনে ‘র’ বলল “আমার মাথায় একটা প্ল্যান এসেছে। যদি একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় যেটাতে নাচ, গান, নাটক, আবৃত্তি, খেলাধুলো সব করা যাবে তাহলে খেলাও হবে, মজাও হবে।” ‘ত’ বলল, “বাহ্, দারুন প্ল্যান। তাহলে কাল থেকেই রিহার্সাল শুরু করব আমরা। এখন তাহলে ফেরা যাক।” বলতেই সব অক্ষর বইয়ের ভিতর ঢুকে গেল। আমি যে ওদের কথা শুনে ফেলেছি, ওরা কেউ বুঝতেই পারেনি।”
Wow amazing taught
LikeLike