গল্প লেখার কর্মশালা–নারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়-দঃ ২৪ পরগ্ণা
নারায়ণপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী অভিজিত দাশগুপ্তের আয়োজনে সে স্কুলের খুদেদের নিয়ে একটা গল্প গড়ার কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। সে আসরে শ্রী ত্রিদিব চ্যাটার্জি, শ্রী সৈকত মুখোপাধ্যায়, শ্রী জয়দীপ চক্রবর্তী ও শ্রী দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য তাদের দিয়েছিলেন নানান গল্পের সুতো, আর সেই সুতো থেকে আশ্চর্য সব গল্প বুনেছিল স্কুলের খুদেরা। তাদের থেকে বাছাই কয়েকটা গল্প এই সংখ্যার জয়ঢাকে প্রকাশিত হল।
হরিমতি রোজ হরু ডাকাতের জঙ্গল পার হয়ে দুধ বিক্রি করতে যায় হরিতকী গ্রামে। একদিন ভোরবেলা জঙ্গলে ছেঁড়া ছেঁড়া সূর্যের আলোয় রোগা ভূত পথ আগলে দাঁড়াল। হরিমতি ভূতকে দেখে প্রথমে কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। পরে সে নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, “কে গা তুমি?”
ভূত জবাবে হেসে বলে, “আমি রগু ভূত।”
হরিমতি কম্পিত স্বরে বলে, “তুমি আমার পথ আটক করলে কেন?”
সে বলে, “আমাদের ভূতপুরে আজ ভোজ। আমাদের মানুষ লাগবে। ভোজ বলে মানুষ ধরে নিয়ে যেতে হবে তাই আমাকে পাঠিয়েছে।”
হরিমতি ঘাম মুছতে মুছতে বলে, “তুমি আমাকে ধরে নিয়ে যাবে?”
রগু বলে, “হ্যাঁ।”
হরিমতির ভয়ে বুক শুকিয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর সে ফন্দি আঁটল। সে বলল, “তুমি কেমন পারো আমার গায়ে হাত দিয়ে দেখাও।”
রজু বলে, “কেন?”
“আমি তোমাকে চাইলে বন্দি করতে পারি।”
“কীভাবে?”
হরিমতি উত্তর দেয়, “আমি ভূত ধরার কৌশল জানি। আমার বাড়িতে তোমার মতো অনেক ভূত ধরা আছে।”
রজু বলে, “আমি বিশ্বাস করি না।”
“তবে দাঁড়াও, দেখাচ্ছি আমি।” এই বলে হরিমতি তার সাইকেল থেকে একটা আয়না বার করে ভূতকে দেখাল। আয়নায় যখন রগু দেখল, তখন সে দেখতে পেল তার মতো ভূত আয়নার ভিতরে আছে। রজু দেখে ভয় পেয়ে গেল। “তুমি আমায় ছেড়ে দাও, আমি আর কখনও তোমার সামনে আসব না।” এই বলে সে তার লম্বা লম্বা পা নিয়ে ছুটে জঙ্গলে অদৃশ্য হয়ে গেল।
এই উপস্থিত বুদ্ধির জন্য হরিমতি ভূতের হাত থেকে রক্ষা পেল।
উপসংহার – বুদ্ধি থাকলে সব জিনিস সহজে সমাধান করা যায়।