গল্প লেখার কর্মশালা–নারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়-দঃ ২৪ পরগ্ণা
নারায়ণপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী অভিজিত দাশগুপ্তের আয়োজনে সে স্কুলের খুদেদের নিয়ে একটা গল্প গড়ার কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। সে আসরে শ্রী ত্রিদিব চ্যাটার্জি, শ্রী সৈকত মুখোপাধ্যায়, শ্রী জয়দীপ চক্রবর্তী ও শ্রী দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য তাদের দিয়েছিলেন নানান গল্পের সুতো, আর সেই সুতো থেকে আশ্চর্য সব গল্প বুনেছিল স্কুলের খুদেরা। তাদের থেকে বাছাই কয়েকটা গল্প এই সংখ্যার জয়ঢাকে প্রকাশিত হল।
চার বন্ধু মিলে জঙ্গলে গেছে। একটি বিরাট গাছের কোটরে উঁকি দিয়ে দেখে সেখানে একটা সিঁড়ি। তার মধ্যে একটা বই, তার পাতায় লেখা ‘গুপ্তধন চাই?’ চার বন্ধু মিলে বইটা পড়তে লাগল। গাছের ভেতরে গুপ্তধন! দুই বন্ধু সিঁড়ি দিয়ে উঠতে লাগল। কিছুক্ষণ পর ওখানে দেখল একটি দরজা এবং চাইছে ধাঁধার উত্তর—‘জীবিত নই আমি, কিন্তু আছি অনেকের কাছে, আমাকে যদি ভালোবাসো, যাবে তুমি জীবনের মূল্য স্থলে’। দুই বন্ধু কিছুক্ষণ ভাবার পর উত্তর দিল এবং দরজা খুলে গেল। ঘরটিতে ভর্তি রত্ন। দুই বন্ধু যতটা পারল নিয়ে এল। হঠাৎ গাছটি কেঁপে উঠল এবং চার বন্ধু তাড়াতাড়ি করে বাইরে বেরিয়ে পড়তেই গাছটি অদৃশ্য হল। বইটাও নেই। তারা যে রত্ন নিয়েছিল, একজন জিজ্ঞাসা করল, “ধাঁধার উত্তর কী ছিল?”
আর-একজন বলল, “বই। যত বইকে ভালোবাসবে, ততই জীবনের মূল্য পাবে। রত্ন আসল ধনসম্পদ নয়। জ্ঞান হল সবকিছু।”