দীপক দাসের আগের লেখাঃ তোমরাও ভালো থেকো, সমু, কাকের বাসায় কোকিল ছা, যমধারার জঙ্গলে, আবার যমধারার জঙ্গলে, শিয়াল চরা সেই রাত, একটি অনৈতিহাসিক সার্জিকাল স্ট্রাইক তুমি অন্নপূর্ণা
এক
“কত দূর রে? আমরা কিন্তু বেরিয়ে পড়েছি।’’ ফোনে বলে উৎসাহী। তারপর কিছুক্ষণ চুপচাপ। ও-পারের উত্তর শুনে ফোনটা কেটে দেয়। মোবাইলটা সাইকেলের সামনে লাগানো ঝুড়িতে রেখে সিটে বসে উৎসাহী। সাইকেল চলতে শুরু করলে ঋতিকা জিজ্ঞাসা করে, ‘‘অম্বিকা কী বলল রে?”
‘‘বেরিয়ে পড়েছে।’’ উৎসাহী বলে।
শুনে সায়নী বলে, ‘‘তাহলে মোটামুটি একই সময়ে পৌঁছে যাব। বল?’’
উৎসাহী আর ঋতিকা কিছু বলে না। বন্ধুদের সাড়া না পেয়েও সায়নী দমে না। একা একাই বকতে থাকে, ‘‘অম্বিকা আর প্রতোশার কাছাকাছি বাড়ি। ওরা নিভা, প্রিয়া আর রীতাকে ডেকে নেবে। শাশ্বতী আর ভাস্বতীর সঙ্গে তো আমাদের আগেই কথা হয়েছে। ওরা ঠিক সময়ে দাঁতন বাজারে পৌঁছে যাবে বলেছে। তাই তো রে?’’
এবার ঋতিকা বন্ধুকে কথার চিমটি কাটে, ‘‘ফোনে তো এ নিয়ে কথা হল সায়নী! আবার একই কথা নিয়ে বকরবকর করে চলেছিস?’’
উৎসাহী বলে, ‘‘একে সাইকেল চালাচ্ছি। তার ওপর মাস্ক পরে। দমবন্ধ লাগছে। আর তুই সমানে বকে চলেছিস? তোর দম আটকে আসছে না? মাস্কের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা তোর কথাগুলো শুনে মনে হচ্ছে, কেউ ভূতুড়ে গলায় কথা বলছে।’’
শুনে সবাই মিলে হেসে ওঠে। সায়নীও হাসে।
আজ ফুচকা কাকিমার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে টেন কমান্ডার।
স্কুলে উৎসাহী-ঋতিকাদের বিশাল একটা দল রয়েছে। দশজনের দল। দশ বন্ধুকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা টেন কমান্ডার বলেন। নামটা স্কুলে জনপ্রিয়। শিক্ষকদের থেকেই বাকিরা জেনে গিয়েছেন। সত্যিই ওরা পুরো স্কুলের প্রায় সব ছাত্রীকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়ায়, স্বাধীনতা বা প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের আয়োজনে দলটার উপরে অনেকটাই নির্ভর করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অনুষ্ঠান মঞ্চ সাজানো থেকে ছোটোদের হাতে টিফিন পৌঁছে দেওয়ার কাজগুলো নির্ঝঞ্ঝাটে হয়ে যায় টেন কমান্ডারে চেষ্টায়। কিন্তু কমান্ডারেরা বর্তমানে ছত্রভঙ্গ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে পাঁচ মাসের বেশি স্কুল বন্ধ। কারও সঙ্গে দেখা নেই। কথা হয় ফোনে। কিন্তু কনফারেন্স কলে একসঙ্গে দশজনকে নেওয়াটা বেশ সমস্যার। সকলেই কথা বলতে চায়। ফলে কারও কথাই ভালোভাবে শোনা যায় না। তাছাড়া সকলের হাতে ফোন দেননি অভিভাবকেরা। কারো-কারো বাড়ির পরিষ্কার নির্দেশ ছিল, উচ্চ মাধ্যমিক পাশের আগে কোনোভাবেই স্মার্ট ফোনে হাত দেওয়া যাবে না। যদিও লক ডাউনে স্কুল বন্ধ থাকার জন্য অনলাইন ক্লাস করতে স্মার্ট ফোনই লাগে। বাড়ির বড়োরা অবশ্য সে-বিষয়ে উদার। নিজেদের ফোন দিয়ে দিয়েছেন। এখন তো তাঁরাও বাড়িতে বন্দি। কিন্তু কাউকে আলাদা ফোন কিনে দেওয়া যাবে না। বড়োদের ফোনেই কাজ চালাতে হবে, স্পষ্ট নির্দেশ অভিভাবকদের। ফলে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপও করা যায়নি। দু-একজনের অভিভাবক একটু নমনীয়। মেয়েকে ফোন কিনে দিয়েছেন। তারা ফোনে নিয়মিত কথা বলে। বাকিরা মাঝে মাঝে ফোন করে কনফারেন্সে।
একদিন ফোনে কনফারেন্সে কথা বলার সময়েই নিভা জিজ্ঞাসা করেছিল ফুচকা কাকিমার কথা। কেমন আছে, কারও সঙ্গে দেখা হয়েছিল কি না। দেখা গেল, কেউই কাকিমার খবর জানে না। প্রতোশা বলেছিল, ‘‘আমার একবার মনে পড়েছিল। অম্বিকাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু ও জানে না।’’
কী করে খোঁজ নেওয়া যায়? উৎসাহীর মনে হয়েছিল, কাকিমার খোঁজ নেওয়া দরকার। দিনের পর দিন কাকিমার ফুচকার স্টলে দাঁড়িয়ে আড্ডা মেরেছে। কাকিমা কামরাঙা বিক্রি করে না। শুধু ফুচকা আর আলুকাবলি। ওদের অনুরোধে, কামরাঙা জোগাড় করে এনেছে। তারপর কেটে নুন-ঝাল মাখিয়ে খাইয়েছেও। টিফিনে টেন কমান্ডার ফুচকার স্টলে দাঁড়িয়ে কত গল্প করে। অথচ কতদিন দেখাই হয়নি। এতদিন কোনও খোঁজ নেয়নি বলে একটু মন খারাপও লাগে উৎসাহীর। সেই মনখারাপ লাগাটা চারিয়ে যায় বাকি ন’জনের মধ্যেও।
কিন্তু কাকিমার খোঁজ নেওয়া যায় কীভাবে? কমান্ডারদের সকলেই বাবাকে বলেছিল কাকিমার খোঁজ এনে দেওয়ার। কিন্তু কড়া লক ডাউনে বড়োরা কেউ বাইরে বেরোতে পারেননি। বড়ো বাজারগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বহু লোক কাজ হারিয়ে ঘরে ফিরেছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ বাধ্য হয়ে পাড়াতেই আনাজপাতি নিয়ে বসতেন। দূরের বড়ো বাজারে যাওয়ার প্রয়োজনও হয়নি টেন কমান্ডারের বাড়ির বড়োদের। শেষে প্রতোশার বাবা খোঁজ আনেন। ওদের প্রিয় ফুচকা কাকিমা সমস্যায় পড়েছে। টাকাপয়সার টানাটানি। সংসার চলছে না। স্কুলের বিক্রিই কাকিমার ভরসা ছিল। স্কুল ছুটির পরে বাড়ির কাজেই ব্যস্ত থাকত কাকিমা। ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা করা, ঘরের কাজও তো রয়েছে।
কাকিমার অসুবিধার কথা শুনেও কিছু করার ছিল না টেন কমান্ডারের। বাইরে বেরোনো নিষেধ। লক ডাউন চলছিল। তাছাড়া বাইরে বেরোলে নিয়মভঙ্গ করা হবে। করোনা আটকাতে নিয়ম মানা জরুরি। কারও বাড়ির লোকই নিয়ম ভাঙতে দিতে রাজি ছিলেন না। টেন কমান্ডার অনলাইনে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কাকিমার স্মার্ট ফোন নেই। আনলকের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতে দশজনে কাকিমার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাড়ির বড়োরা ওদের এই উদ্যোগের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
উৎসাহীর বাবা অরিন্দমবাবু টেন কমান্ডারদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক। আজ টেন কমান্ডার বেরোনোর সময় তিনি মেয়ে ও মেয়ের বন্ধুদের বার বার বলেছেন, ‘‘কাকিমাকে সাহায্য করার ছবি তুলবে না। কোনও সেলফি নয়। ফেসবুকে কিছু লিখবে না।’’ মেয়েকে নিজের ফোনটাও দিয়েছেন অরিন্দমবাবু।
দুই
ফোনটা পেয়েই তড়িঘড়ি চলে এসেছিলেন অরিন্দমবাবু। উৎসাহী ফোন করেছিল ওর মায়ের ফোনে। অরিন্দমবাবু ফোনটা ধরতেই মেয়ের উদ্বিগ্ন গলা, ‘‘বাবা, একটু তাড়াতাড়ি এসো।’’
এসে দেখেন, টেন কমান্ডার থমথমে মুখে দাঁড়িয়ে। শাশ্বতী আর ভাস্বতী কাঁদছে। কাকিমা ওদের সাহায্য নেবে না যে! অরিন্দমবাবুর মনে হয়, উনি যাদের ভালোবাসেন তাদের থেকে সাহায্য নিতে সংকোচ করছেন। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, ‘‘কেন না করছেন দিদি? ওরা আপনাকে ভালোবাসে। মেয়েকে ফোনে বন্ধুদের সঙ্গে আপনাকে নিয়ে কথা বলতে শুনেছি। ওরা চিন্তিত ছিল আপনার জন্য। আপনার ছেলেমেয়ের জন্যও। অনেকদিন ধরেই আসার চেষ্টা করছিল ওরা। কিন্তু বেরোনো বারণ ছিল বলে নিয়ম ভাঙতে দিইনি আমিই।’’
কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন কাকিমা। মেয়েরা ওঁর নাম জানে না। জানার প্রয়োজন হয়নি কোনোদিন। ফুচকা খেতে এলে কাকিমা বলে। অন্য সময়ে কথা উঠলে ফুচকা কাকিমা। আজ সকালে মেয়েরা একটু বিপাকেই পড়েছিল। কিছু টাকা জমিয়েছিল সব মেয়েরাই। বড়োদের থেকেও কিছু নিয়েছিল। সে-সব দিয়ে জিনিসপত্র কিনেছে। কাকিমার ছেলেমেয়ের খাতা, পেন। কিছু ফল। এখন তো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। বেশিদিন চলবে না এই ক’টা ফলে। তবুও। আর কিছু নগদ টাকা। পাঁচ হাজার চারশো টাকা। চাঁদা তুলেছিল উৎসাহী আর ঋতিকা। টাকার প্যাকেটে নাম লিখতে গিয়ে ঋতিকা বলে, ‘‘কী লিখব রে, ফুচকা কাকিমা?”
সেটা লেখা ঠিক হবে না। দশজনে মনে করার চেষ্টা করে কোনোদিন কাকিমার নাম জানতে চেয়েছিল কি না। কিন্তু দেখা যায়, কেউই নাম জানে না কাকিমার। শেষে নিভার পরামর্শে ‘আমাদের প্রিয় কাকিমা’ লেখে।
মেয়েদের দিকে একবার তাকান অরিন্দমবাবু। আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলেন। তার আগেই কাকিমা বলে ওঠেন, ‘‘স্যার, আমি যখন শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে আসি…’’ বলতে বলতে থেমে যান হঠাৎ। একবার মেয়েদের দলটার দিকে তাকান। তারপর বলেন, ‘‘মেয়েদের দূরে দাঁড়াতে বলব স্যার?’’
অরিন্দমবাবু বলেন, ‘‘ওরা শুনুক দিদি। কেন প্রিয় কাকিমা ওদের ফিরিয়ে দিচ্ছে সেটা জানা দরকার। না-হলে ওদের মনে হবে ওরা চেষ্টাটা করেছিল, সেটা করা উচিত হয়নি। ভালো কিছু করার আগে ওদের মনে সংশয় জাগবে। থমকে যাবে ওরা।’’
কাকিমা মেয়েদের দিকে তাকান একবার। তারপর বলেন, ‘‘কোর্টে আমাদের দুজনের ছাড়াছাড়ি হয়নি। আমিই চলে এসেছিলাম। অনেকে আমাকে বলেছিল, মামলা করে খোরপোষ আদায় করতে। কারণ, ছেলেমেয়েদের মানুষ করতে টাকা লাগবে। টাকা জিনিসটা খুব দরকার জীবনে। সে আমি এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারি। কিন্তু আমি রাজি হইনি। যে বাবা নিজের ইচ্ছায় ছেলেমেয়েদের দায়িত্ব নিতে চায়নি তার সাহায্য নিতে মানে লেগেছিল। আমি ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়িতে উঠি। চেষ্টা করছি পরিশ্রম করে ওদের মানুষ করার।’’
অরিন্দমবাবু বোঝানোর চেষ্টা করেন, ‘‘কিন্তু মেয়েরা তো কোনোরকম অসম্মান করেনি আপনাকে দিদি। সাহায্য করার একটা গর্ব থাকে কারো-কারো মধ্যে। কিন্তু মেয়েদের মধ্যে শুধু ভালোবাসাই আছে। ওরা সত্যি আপনার জন্য চিন্তিত।’’
‘‘পরিশ্রম ছাড়া কোনও টাকাপয়সা নিতে পারব না স্যার। আমার ছেলেমেয়ে দেখুক, ওদের কত কষ্ট করে মানুষ করছি। শিখুক ওরা।’’
‘‘এটা আপনার অন্যায় জেদ দিদি। ভালোবাসার কাছে এমন জেদ কি ঠিক?’’
‘‘ঠিকই বলেছেন। তবুও আমি এই জেদ বজায় রাখতে চাই। একটা শর্তে আমি ওদের টাকা নেব।’’
‘‘বলুন কী শর্ত?’’
‘‘ওরা যদি ওদের প্রজেক্টের খাতা আমাকে দিয়ে করায়। এখন তো কম্পিউটারের লোকেদের দিয়ে কাজ করায় ওরা। আমি উচ্চমাধ্যমিক পাশ। হাতের লেখা ভালো। ছবি আঁকতে পারতাম। এখনও পারি।’’ একটু থামেন কাকিমা। তারপর বলেন, ‘‘লক ডাউনে অনেকের সর্বনাশ হয়েছে। আবার কিছুটা সুযোগও এসেছে স্যার। আমাদের বাড়ির পাশে দুই বুড়ো-বুড়ি থাকে। ছেলে বিদেশে। যে মেয়েটা কাজ করত সে আর আসেনি। আমাকে ফোন করেছিল ওদের ছেলে। অনুরোধ করেছিল বাবা-মাকে দেখার। ওষুধপত্র কিনে সময়মতো খাইয়ে দেওয়ার। আমিই এখন দুজনের দেখাশোনা করি। ওরা টাকা দেয়। বিকেলে ফুচকা নিয়ে বসি। লোকে এখনও ভয়ে খাচ্ছে না সেরকম, তবুও চলে যায় কোনোরকমে।’’ কাকিমা থামেন।
কিছুক্ষণ সবাই চুপ করে থাকে। অরিন্দমবাবুর মনে হয়, ভদ্রমহিলার আত্মসম্মানের মর্যাদা দেওয়াই উচিত। কিন্তু তিনি কিছুটা দ্বিধায় পড়েন। প্রজেক্টের খাতা তো ছাত্রছাত্রীদের নিজেদেরই করা নিয়ম। যদি ফুচকা কাকিমাকে দিয়ে খাতা করানোর বিষয়টায় তিনি সরাসরি সম্মতি দেন তাহলে তা নিয়মবিরুদ্ধ হবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়ে সে-কাজ করা কি ঠিক? যদিও প্রজেক্টের খাতা বাইরে থেকে করানোটাই এখন দস্তুর হয়ে উঠেছে। সেটা স্কুলের শিক্ষকেরাও ভালো জানেন।
একটুখানি ভাবেন অরিন্দমবাবু। তারপর মনে হয়, ভালো কিছুর জন্য নিয়ম নিয়ে কড়া না হওয়াই ভালো। যদি প্রজেক্টের খাতা তৈরির খরচ মেয়েদের চাঁদা তুলে জোগাড় করা টাকার বেশি হয়, তিনি দিয়ে দেবেন। মনে মনে ঠিক করে নেন অরিন্দমবাবু।
চিন্তা, সংশয়, মেয়েদের কষ্টবোধে পরিবেশটা থমথমে হয়ে গিয়েছিল। ফুচকা কাকিমা মেয়েদের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘‘এই, তোরা অনেকদিন পরে এসেছিস। ফুচকা খেয়ে যাবি।’’
কিন্তু মেয়েরা খুব একটা স্বাভাবিক হতে পারে না। উৎসাহী বাবার দিকে তাকায়। অরিন্দমবাবু চোখের ইশারা করেন।
স্কুলে টিফিনে ফুচকা খাওয়ার কোনও হিসেব থাকে না টেন কমান্ডারের। কিন্তু আজ খেতে ভালো লাগে না কারও। খানচারেক করে খেয়েই পাতা ফেলে দেয় ওরা। সায়নী কাকিমাকে বলে, ‘‘আর খাব না কাকিমা। আমরা বাড়ি থেকে খেয়েই বেরিয়েছি।’’
কাকিমা বলেন, ‘‘আচ্ছা।’’
অরিন্দমবাবু জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘কত হল দিদি?’’
কাকিমা বলেন, ‘‘আমি তো খাওয়ালাম। দাম লাগবে না স্যার।’’
অরিন্দমবাবু একশো টাকার নোটটা বাড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘পৃথিবী সুস্থ হোক। একদিন ওদের খাইয়ে দেবেন দিদি।’’
(দাঁতনের উৎসাহী দাস ও তার বন্ধুরা দেখা করেছিল তাদের স্কুলের সামনে বসা ফুচকা কাকিমার সঙ্গে। গল্পের বীজ সেই ঘটনাই। আর কোনও কিছুর সঙ্গে বাস্তবের যোগ নেই।)
অলঙ্করণ-শ্রীময়ী
লকডাউনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গল্পরা। জীবনের ছবি একটা। ভাল লাগল।
LikeLike
এমন কত অসহায় গল্প তৈরি হয়েছে বন্দি সময়ে! অসহায় হয়ে পড়েছিল মানুষ।
LikeLike
কি সুন্দর।
LikeLike
অনেক ধন্যবাদ। পড়ার জন্য তো বটেই। জানানোর জন্য বেশি করে। ভাল বা মন্দ যে রকমই লাগুক না কেন লেখক সেটা পাঠকের কাছ থেকে জানতে চায়।
LikeLike